In this post, we provide a comprehensive solution to SEBA Class 10 Bengali Chapter 1, "প্রার্থনা" (Prayer). The questions and answers are expertly solved by our educator, Gobinda Debnath, ensuring a clear understanding of the chapter's key concepts. This guide is designed to help students grasp the material and prepare effectively for their exams.
Class 10 Bengali chapter 1
প্রার্থনা কবি:- বিদ্যাপতি
(আনুমানিক :১৩৫২-১৪৪৮)
ক্রিয়াকলাপ।
১) ক) শূণ্যস্হান পূর্ণ করো।
(ক) তাতল __________ বারিবিন্দু সম ।
উত্তরঃ- তাতল সৈকত বারিবিন্দু সম ।
(খ) মাধব __________ পরিনাম নিরাশা ।
উত্তরঃ- মাধব হাম পরিনাম নিরাশা ।
(গ) __________ জগতারণ, দীন – দয়াময় ।
উত্তরঃ- তুহু জগতারন, দীন – দয়াময় ।
(ঘ) আধ জনম হাম নিন্দে __________।
উত্তরঃ- আধ জনম হাম নিন্দে গোঙায়লুঁ ।
(ঙ) __________ রমণী রসরঙ্গে মাতলু ।
উত্তরঃ- নিধুবনে রমণী রসরঙ্গে মাতলু ।
খ) পাঠ অনুসরণে শুদ্ধ করে লেখো ।
(ক) সুত – মিত – পুরুষ সমাজে ।
উত্তরঃ- সুত – মিত – রমণী সমাজে ।
(খ) তুহু জগন্নাথ, দীনদয়াময় ।
উত্তরঃ- তুহু জাগ – তারণ, দীন – দয়াময় ।
(গ) জরা শিশু এতদিন গেলা ।
উত্তরঃ- জরা শিশু কতদিন গেলা ।
(ঘ) তোহে পুঁজিব কোন বেলা ।
উত্তরঃ- তোহে ভজব কোন বেলা ।
২। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
(ক) ‘প্রার্থনা’ কবিতাটির কবি কে ?
উত্তরঃ- ‘প্রার্থনা’ কবিতাটির কবি নাম হল বিদ্যাপতি ।
(খ) কবি কাকে ভুলেছিলেন বলে অনুতাপ করেছেন ?
উত্তরঃ- কবি মাধবকে অর্থাত প্রভু শ্রী কৃষ্ণকে ভুলেছিলেন বলে অনুতাপ করেছেন ।
(গ) ‘বিশোয়াসা’ কোন শব্দের অন্তর্গত ?
উত্তরঃ- ‘বিশোয়াসা’ ব্রজবুলি শব্দের অন্তর্গত ।
(ঘ) ‘নিন্দে’ শব্দের অর্থ কি ?
উত্তরঃ- ‘নিন্দে’ শব্দের অর্থ হল নিদ্রায় ।
(ঙ) বিদ্যাপতি প্রকৃত পক্ষে কোথাকার কবি ?
উত্তরঃ- বিদ্যাপতি প্রকৃত পক্ষে মিথিলার কবি ছিলেন ।
৩) ৩/৪ টি বাক্যে উত্তর দাও ।
(ক) ‘মাধব, হাম পরিনাম নিরাশা’—– কবির এমন মনোভাবের কারণ কী ?
উত্তরঃ- ‘মাধব, হাম পরিনাম নিরাশা’ কবির এমন মনোভাবের কারণ হল কবি বিদ্যাপতি এতদিন সংসার মোহে মোহবিষ্ট হয়ে অর্থাৎ স্ত্রী – পুত্র – পরিবার – সমাজ নিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ব্যয় করেন। পরিবার আর সমাজের কাজে কবি এমনভাবে ব্যস্ত ছিলেন এমনকি তিনি ঈশ্বরের ভজনা ও করেননি অর্থাৎ ঈশ্বরের ভজনা করার সময় পাননি। কবির এখন জীবনের শেষ পরিণামের কথা ভেবে হতাশ হয়ে পড়েছেন এবং তাই কবি বলেছেন, শেষকালে মৃত্যুজনিত ভয় থেকে উদ্ধার করতে, হে প্ৰভু তুমি ছাড়া গতি নেই কারণ মাধবই অর্থাৎ প্রভু শ্রী কৃষ্ণই হলেন জগতের একমাত্র উদ্ধারকর্তা।
(খ) কবি কেন আশাবাদী যে ঈশ্বর তাকে কৃপা করবেন ?
উত্তরঃ- কবি বিদ্যাপতি এতদিন সংসার মোহে মোহবিষ্ট হয়ে অর্থাৎ স্ত্রী – পুত্র – পরিবার – সমাজ নিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ব্যয় করেন এবং জীবনের শেষ পরিণামের কথা ভেবে হতাশ হয়ে পরেন কিন্তু কবি জগৎপতি মাধবের কাছে সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পন করে উদ্ধার পেতে চেয়েছেন, কবির বিশ্বাস এবং আশাবাদী যে ঈশ্বর তাকে কৃপা করবেন কারণ জগতে তিনিই(মাধব) একমাত্র সৎ এবং সত্য, দীনের প্রতি দয়াশীল অতএব উদ্ধার – কর্তাও একমাত্র তিনিই ।
(গ) জীবনের অর্ধেক কাল পর্যন্ত কবি কিভাবে সময় অতিবাহিত করেছেন ?
উত্তরঃ- কবি বিদ্যাপতি জীবনের অর্ধেক কাল পর্যন্ত সুত – মিত – রমনী অর্থাৎ স্ত্রী – পুত্র – পরিবার – সমাজ নিয়ে এতই ব্যাতিব্যস্ত ছিলেন যে তার মাঝখানে মাধবের প্রতি ভক্তি নিবেদন করার সময় পাননি । কবি বলেছেন অর্ধেক জন্ম তিনি নিদ্রায় কাটালেন, মায়াময় সংসারের মোহে ডুবে ছিলেন এখন তিনি জীবনের শেষকালে মৃত্যুজনীত ভয়ের কথা ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কারণ এই মায়াময় সংসার, স্ত্রী, পুত্র, পরিবার, সমাজ কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়, উপ্তত বালুরাশিতে যেমন জল পরলে তা মূহর্তে বিলীন হয়ে যায়, তেমনি এই মায়াময় সংসার ও ক্ষণস্থায়ী শুধু একমাত্র মাধবই অর্থাৎ প্রভু শ্রীকৃষ্ণই জগতের উদ্বারকর্তা।
(ঘ) 'তাতল সৈকত বারিবিন্দু সম' বলতে কবিতা কী বলতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ- 'তাতল সৈকত বারিবিন্দু সম' বলতে কবিতাটিতে কবি বিদ্যাপতি বলতে চেয়েছেন যে যেমন উতপ্ত বালুকারাশিতে জলবিন্দু পড়লে তা নিমেষে শুয়ে যায়, তেমনি স্ত্রী – পুত্র – মিত্র আদি ক্ষণস্থায়ী, জন্মের পর মৃত্যুই সত্য এমনকি যে জগতের সৃস্টিকর্তা ব্রহ্মা তাঁরও অবসান ঘটে। কিন্তু যিনি জগন্নাথ অর্থাৎ প্রভু শ্রীকৃষ্ণ তার কোনো আদি অন্ত নে়ই, সমুদ্রতরঙ্গের ন্যায় এ জগৎ- ঈশ্বর থেকে সৃষ্টি হয়ে ঈশ্বরে বিলীন হয়। কবি বিদ্যাপতি তাই বলছেন, শেষকালে মৃত্যুজনিত ভয় থেকে উদ্ধার করতে, হে প্রভু, তুমি ছাড়া গতি নেই। জগতে তুমিই একমাত্র উদ্ধারকর্তা; সুতরাং ত্রাণ করবার দায়িত্ব এখন তোমার।
৪। রচনাধর্মী উত্তর লেখো।
(ক) 'প্রার্থনা' কবিতাটি অবলম্বনে কবির বক্তব্য বিষয় পরিস্ফুট করো।
উত্তরঃ- বিদ্যাপতির 'প্রার্থনা' কবিতাটি মধ্যযুগের বৈষ্ণব ভাবধারায় রচিত একটি অসাধারণ কাব্য। এই কবিতায় কবি তাঁর ভক্তিপূর্ণ হৃদয়ের নিবেদন প্রকাশ করেছেন এবং ঈশ্বরের প্রতি প্রার্থনার মাধ্যমে মানবজীবনের মৌলিক সমস্যাগুলি তুলে ধরেছেন। কবিতাটিতে স্নিগ্ধ, সরল এবং ভক্তিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। বিদ্যাপতি তাঁর আবেগকে ব্যক্ত করেছেন গভীর আন্তরিকতার সঙ্গে। প্রতিটি পঙক্তিতে ঈশ্বরের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও বিশ্বাস প্রকাশ পেয়েছে। বিদ্যাপতির 'প্রার্থনা' কবিতাটি বৈষ্ণব দর্শনের একটি মর্মস্পর্শী উদাহরণ। এতে মানবজীবনের দুর্বলতা, ঈশ্বরের কৃপা লাভের আকাঙ্ক্ষা, এবং ভক্তির মাহাত্ম্য নিখুঁতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এই কবিতা পাঠকের মনে ঈশ্বরচেতনা জাগ্রত করে এবং ভক্তির মহিমাকে উপলব্ধি করায়।
কবি বিদ্যাপতি ঈশ্বরকে ভক্তিভাবে স্মরণ করেছেন। তাঁর মতে, ঈশ্বরই একমাত্র পথপ্রদর্শক ও ত্রাণকর্তা। ভক্তের আত্মসমর্পণ ও ঈশ্বরের কৃপা লাভের আকাঙ্ক্ষা কবিতার মূল বক্তব্য। কবি জীবনের অস্থায়িত্ব ও অনিশ্চয়তার কথা বলেছেন। মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং এতে ক্লেশ ও যন্ত্রণার আধিক্য। এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তির জন্য ঈশ্বরের করুণাই একমাত্র ভরসা। কবিতায় বিদ্যাপতি ঈশ্বরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি বারবার বলেছেন, মানুষ তাঁর ভুল ও অপরাধে জর্জরিত, কিন্তু সেই ত্রুটি সত্ত্বেও ঈশ্বর যেন ক্ষমা প্রদর্শন করেন। বিদ্যাপতি বিশ্বাস করেন যে ঈশ্বরের কৃপা লাভ করলে আত্মা মোক্ষ লাভ করতে পারে। এই মুক্তিই জীবনের পরম লক্ষ্য।
উতপ্ত বালুকারাশিতে যেমন জলবিন্দু পড়লে তা নিমেষে শুয়ে যায়, তেমনি স্ত্রী – পুত্র – মিত্র আদি ক্ষণস্থায়ী, জন্মের পর মৃত্যুই সত্য এমনকি যে জগতের সৃস্টিকর্তা ব্রহ্মা তাঁরও অবসান ঘটে। সংসার মোহমায়া কবিকে এমন বাবে শোষণ করে যে ঈশ্বরের করুনা ছাড়া আর কোনো গতি নেয়। কবি বিদ্যাপতি বলেছেন অর্ধেক জন্ম তিনি নিদ্রায় কাটালেন, মায়াময় সংসারের মোহে ডুবে ছিলেন কতদিন গেল শৈশবে আর বাধকে, নিধুবনে রমনীসঙ্গে রসরঙ্গে কাটালেন, এখন তিনি জীবনের শেষকালে মৃত্যুজনীত ভয়ের কথা ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এবং জীবনের উপদেশে এসে কবি উপলব্ধি করছেন, তার পরিণাম নিশ্চিতভাবে নৈশ্যপূরণ কারণ এই মায়াময় সংসার, স্ত্রী, পুত্র, পরিবার, সমাজ কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়, সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী, উতপ্ত বালুকারাশিতে যেমন জলবিন্দু পড়লে তা নিমেষে শুয়ে যায়, তেমনি স্ত্রী – পুত্র – মিত্র আদি ক্ষণস্থায়ী, জন্মের পর মৃত্যুই সত্য এমনকি যে জগতের সৃস্টিকর্তা ব্রহ্মা তাঁরও অবসান ঘটে। কিন্তু যিনি জগন্নাথ (জগতের নাথ) অর্থাৎ প্রভু শ্রীকৃষ্ণ তার কোনো আদি অন্ত নে়ই, সমুদ্রতরঙ্গের ন্যায় এ জগৎ- ঈশ্বর থেকে সৃষ্টি হয়ে ঈশ্বরে বিলীন হয়। কবি বিদ্যাপতি তাই বলছেন, শেষকালে মৃত্যুজনিত ভয় থেকে উদ্ধার করতে, হে প্রভু, তুমি ছাড়া গতি নেই। জগতে তুমিই একমাত্র উদ্ধারকর্তা; সুতরাং ত্রাণ করবার দায়িত্ব এখন তোমার, তাই এ়খন কবি আশাবাদী যে ঈশ্বর তাকে কৃপা অর্থাৎ শে়ষকালে মৃত্যুজনিত ভয় থেকে উদ্ধার করবেন কারণ ঈশ্বর জগতের ত্রাতা, দীনের প্রতি দয়াশীল। তিনি অনাদির আদি গোবিন্দ। জগন্নাথ, ছাড়া জীবের আর কোনো কিছু নেই, কোনো গতি নেয়।
কবি বিদ্যাপতি, জগৎপতি মাধবের নিকট সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করেন এবং এই জগৎ থেকে উদ্ধার পেতে প্রার্থনা করেন।
(খ) 'মাধব হাম পরিণাম নিরাশা'-কার, কোন রচনা থেকে পংক্তি উদ্ধৃত করা হয়েছে? মাধব বলতে কাকে বোঋানো হয়েছে? কবির এই মন্তব্যের যথার্থতা আলোচনা করো।
উত্তরঃ- প্রস্তুত পদটি কবি বিদ্যাপতির রচিত “প্রার্থনা” কবিতা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। মাধব বলতে এখানে প্রভু শ্রী কৃষ্ণকে বোঋানো হয়েছে।
কবি বিদ্যাপতি জীবনের অর্ধেক কাল পর্যন্ত সুত – মিত – রমনী অর্থাৎ স্ত্রী – পুত্র – পরিবার – সমাজ নিয়ে এতই ব্যাতিব্যস্ত ছিলেন যে তার মাঝখানে মাধবের প্রতি ভক্তি নিবেদন করার সময় পাননি এমনকি প্রয়োজন মনে করেননি। কবি বলেছেন অর্ধেক জন্ম তিনি নিদ্রায় কাটালেন, মায়াময় সংসারের মোহে ডুবে ছিলেন এখন তিনি জীবনের শেষকালে মৃত্যুজনীত ভয়ের কথা ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এবং জীবনের উপদেশে এসে কবি উপলব্ধি করছেন, তার পরিণাম নিশ্চিতভাবে নৈশ্যপূরণ কারণ এই মায়াময় সংসার, স্ত্রী, পুত্র, পরিবার, সমাজ কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়, সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী, উতপ্ত বালুকারাশিতে যেমন জলবিন্দু পড়লে তা নিমেষে শুয়ে যায়, তেমনি স্ত্রী – পুত্র – মিত্র আদি ক্ষণস্থায়ী, জন্মের পর মৃত্যুই সত্য এমনকি যে জগতের সৃস্টিকর্তা ব্রহ্মা তাঁরও অবসান ঘটে। কিন্তু যিনি জগন্নাথ (জগতের নাথ) অর্থাৎ প্রভু শ্রীকৃষ্ণ তার কোনো আদি অন্ত নে়ই, সমুদ্রতরঙ্গের ন্যায় এ জগৎ- ঈশ্বর থেকে সৃষ্টি হয়ে ঈশ্বরে বিলীন হয়। কবি বিদ্যাপতি তাই বলছেন, শেষকালে মৃত্যুজনিত ভয় থেকে উদ্ধার করতে, হে প্রভু, তুমি ছাড়া গতি নেই। জগতে তুমিই একমাত্র উদ্ধারকর্তা; সুতরাং ত্রাণ করবার দায়িত্ব এখন তোমার, তাই এ়খন কবি আশাবাদী যে ঈশ্বর তাকে কৃপা অর্থাৎ শে়ষকালে মৃত্যুজনিত ভয় থেকে উদ্ধার করবেন কারণ ঈশ্বর জগতের ত্রাতা, দীনের প্রতি দয়াশীল। তিনি অনাদির আদি গোবিন্দ। জগন্নাথ, ছাড়া জীবের আর কোনো কিছু নেই, কোনো গতি নেয়।
তাই কবি বিদ্যাপতি আধ্যাত্মিক পিপাসায় আকুল হয়ে সম্পূর্ণরূপে ব্রহ্মপদে (প্রভু শ্রীকৃষ্ণ পদে) শরণ সমগ্র পরলোকে পরিত্রান পাবার আশায় এই পদটি ব্যক্ত করেন। এইভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে পদ আধ্যাত্মিক ভাবনা সমচ্ছন্ন হৃদয়ের সুতীব্র ব্যাকুলতা পরে স্বচ্ছন্দ ভাবে ও ব্লাক প্রকাশ।
(গ) প্রার্থনা কবিতায় কবি বিদ্যাপতি যেভাবে আত্মবিশ্লেষণ করেছেন তা বর্ণনা করুন।
উত্তরঃ- কবি বিদ্যাপতির "প্রার্থনা" কবিতাটি একটি গভীর আত্মবিশ্লেষণমূলক রচনা, যেখানে তিনি নিজের অন্তরের অবস্থাকে বিশ্লেষণ করেছেন এবং ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। কবিতাটি মূলত একজন মানুষ হিসেবে কবির নিজের সীমাবদ্ধতা, দুর্বলতা এবং পাপবোধকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। তিনি ঈশ্বরের কাছে নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে সাহায্যের জন্য আর্তি জানিয়েছেন। কবি নিজের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক অধঃপতনের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। তিনি মনে করেন, মানবজীবনের মোহ-মায়া এবং লোভ তাকে সঠিক পথ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে। বিদ্যাপতি কবিতায় তার পাপের বোঝা অনুভব করেছেন এবং ঈশ্বরের কাছে স্বীকারোক্তি করেছেন। এটি একজন মানুষের আত্মার গভীরতম অবস্থাকে প্রকাশ করে, যেখানে তিনি উপলব্ধি করেন যে ঈশ্বর ছাড়া তার আর মুক্তির কোনো উপায় নেই। বিদ্যাপতির "প্রার্থনা" কেবলমাত্র একটি প্রার্থনা নয়, এটি মানুষের আত্মিক যাত্রার এক অনন্য উদাহরণ। নিজের ভুল-ত্রুটি এবং অক্ষমতা উপলব্ধি করে তা স্বীকার করার মধ্য দিয়েই তিনি ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস এবং আত্মসমর্পণের সুর তুলেছেন। কবিতাটি আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে একটি মহৎ উদাহরণ। কবি তার সমস্ত ভুল-ত্রুটির জন্য ঈশ্বরের করুণা এবং দয়া কামনা করেছেন। এটি আত্মবিশ্লেষণের চূড়ান্ত পর্যায়, যেখানে মানুষ নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরের ইচ্ছার কাছে সমর্পণ করে। বিদ্যাপতি মানবজীবনের ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতি এবং নিজের অক্ষমতাকে গভীরভাবে অনুভব করেছেন। তিনি বুঝতে পারেন, যে মানুষের জীবন সীমিত এবং এই জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে ঈশ্বরের আশ্রয় প্রয়োজন।
কবি বিদ্যাপতি বলেছেন অর্ধেক জন্ম তিনি নিদ্রায় কাটালেন, মায়াময় সংসারের মোহে ডুবে ছিলেন এখন তিনি জীবনের শেষকালে মৃত্যুজনীত ভয়ের কথা ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এবং জীবনের উপদেশে এসে কবি উপলব্ধি করছেন, তার পরিণাম নিশ্চিতভাবে নৈশ্যপূরণ কারণ এই মায়াময় সংসার, স্ত্রী, পুত্র, পরিবার, সমাজ কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়, সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী, উতপ্ত বালুকারাশিতে যেমন জলবিন্দু পড়লে তা নিমেষে শুয়ে যায়, তেমনি স্ত্রী – পুত্র – মিত্র আদি ক্ষণস্থায়ী, জন্মের পর মৃত্যুই সত্য এমনকি যে জগতের সৃস্টিকর্তা ব্রহ্মা তাঁরও অবসান ঘটে। কিন্তু যিনি জগন্নাথ (জগতের নাথ) অর্থাৎ প্রভু শ্রীকৃষ্ণ তার কোনো আদি অন্ত নে়ই, সমুদ্রতরঙ্গের ন্যায় এ জগৎ- ঈশ্বর থেকে সৃষ্টি হয়ে ঈশ্বরে বিলীন হয়। কবি বিদ্যাপতি তাই বলছেন, শেষকালে মৃত্যুজনিত ভয় থেকে উদ্ধার করতে, হে প্রভু, তুমি ছাড়া গতি নেই। জগতে তুমিই একমাত্র উদ্ধারকর্তা; সুতরাং ত্রাণ করবার দায়িত্ব এখন তোমার, তাই এ়খন কবি আশাবাদী যে ঈশ্বর তাকে কৃপা অর্থাৎ শে়ষকালে মৃত্যুজনিত ভয় থেকে উদ্ধার করবেন কারণ ঈশ্বর জগতের ত্রাতা, দীনের প্রতি দয়াশীল। তিনি অনাদির আদি গোবিন্দ। জগন্নাথ, ছাড়া জীবের আর কোনো কিছু নেই, কোনো গতি নেয়।
৫। নিহিতার্থ লেখো-
(ক) তাতল সৈকত বারি বিন্দু সম
সুত – মিত – রমণী সমাজে।
উত্তরঃ- আলোচ্য পদ্য অংশটি বিদ্যাপতি রচিত “প্রার্থনা” শীর্ষক পর্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যাপতির রচিত এই পদটি প্রেম ও প্রকৃতির সৌন্দর্যের এক অনন্য উদাহরণ। এখানে কবি প্রেমের অনুভূতি এবং তার সঙ্গে প্রকৃতির মেলবন্ধনকে প্রকাশ করেছেন।
পদটির নিহিতার্থ:
"তাতল সৈকত বারি বিন্দু সম, সুত-মিত-রমণী সমাজে"- এখানে কবি সৈকতে পড়া পানির বিন্দুর ক্ষণস্থায়ীত্বের সঙ্গে প্রেমের অনুভূতিকে তুলনা করেছেন। প্রেমও ক্ষণস্থায়ী এবং নাজুক, যেমন সৈকতে পড়া পানির বিন্দু। উতপ্ত বালুকারাশিতে যেমন জলবিন্দু পড়লে তা নিমেষের মধ্যে শুকিয়ে যায় তেমনি স্ত্রী পুত্র আদি যে পরিবার ও সমাজ, সেও কবিকে এমন শুষে নেয় যে তার নিজের দিকে তাকানোর বা নিজের জন্য কিছু করার অর্থাৎ ঈশ্বর ভজনা করার সময় ছিল না। পদ্যটিতে কবি বিদ্যাপতির অনুতাপ, আত্মনিবেদনের একান্ত আকুতি পরিলক্ষিত হয়। এই সংসার মোহ মায়ায় আছান্ন, কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়, সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী, জন্মের পর মৃত্যুই সত্য এমনকি যে জগতের সৃস্টিকর্তা ব্রহ্মা তাঁরও অবসান ঘটে।
(খ) তোহে বিসরি মন তাহে সমর্পিলু।
উত্তরঃ- আলোচ্য পদ্য অংশটি বিদ্যাপতি রচিত “প্রার্থনা” শীর্ষক পর্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যাপতির "তোহে বিসরি মন তাহে সমর্পিলু" একটি অতি মর্মস্পর্শী ও ভক্তিমূলক পদ, যেখানে মানব ও দেবতার সম্পর্ক গভীর আবেগ ও ভক্তির দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে। এই পদটির মূল নিহিতার্থ হলো প্রভুর প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণ ও পার্থিব বন্ধনের মোহ ত্যাগ করা।
"তোহে বিসরি মন" বলতে বোঝানো হয়েছে যে কবি বিদ্যাপতি এতদিন(অর্ধেক জন্ম) তিনি নিদ্রায় কাটালেন, মায়াময় সংসারের মোহে ডুবে ছিলেন বা ভ্রান্তির মধ্যে আবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন সেই মোহ থেকে মুক্ত হয়ে, নিজের ইন্দ্রিয় ও হৃদয় প্রভুর সেবায় উৎসর্গ করা হয়েছে।
(গ) অতয়ে তোহারি বিশোয়াসা।
উত্তরঃ- আলোচ্য পদ্য অংশটি বিদ্যাপতি রচিত “প্রার্থনা” শীর্ষক পর্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যাপতির প্রার্থনা কবিতায় "অতয়ে তোহারি বিশোয়াসা" পদটি ভক্তির গভীরতার একটি অসাধারণ প্রকাশ। এই পদটি দ্বারা কবি প্রার্থনা করছেন ঈশ্বরের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থার কথা। তিনি বোঝাতে চান যে, জীবনের সমস্ত অনিশ্চয়তা, কষ্ট এবং দুঃখের মাঝে তিনি কেবল ঈশ্বরের উপরেই নির্ভরশীল। "অতয়ে তোহারি বিশোয়াসা" এর এই পদটি প্রকাশ করে যে কবি তার সমস্ত আশা এবং নির্ভরতাকে ঈশ্বরের হাতে সমর্পণ করেছেন। ঈশ্বরের প্রতি অবিচল বিশ্বাস এবং আত্মসমর্পণের ভাব কবির ভক্তিমূলক চিন্তাধারার পরিচয় দেয়। জীবনের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঈশ্বরের করুণা এবং আশ্রয়ের আকাঙ্ক্ষা করেন। এই পদে বিদ্যাপতির বিশ্বাস ও আত্মসমর্পণের মাধ্যমে তিনি সকল মানুষের জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, যা দৈবিক প্রেম এবং ভক্তির চরম রূপ।
(ঘ) “নিধুবনে রমণী – রসরঙ্গে মাতলু৷
উত্তরঃ- আলোচ্য পদ্য অংশটি বিদ্যাপতি রচিত “প্রার্থনা” শীর্ষক পর্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যাপতির প্রার্থনা কবিতায় উল্লেখিত পদ “নিধুবনে রমণী – রসরঙ্গে মাতলু” ভক্তিরস ও শৃঙ্গাররসের মিশ্রণে রচিত।
বিদ্যাপতির এই পঙ্ক্তিতে শৃঙ্গাররসের মাধ্যমে ভক্তি ও প্রেমের গভীরতাকে তুলে ধরা হয়েছে। কবি বিদ্যাপতি বলেছেন অর্ধেক জন্ম তিনি নিদ্রায় কাটালেন, মায়াময় সংসারের মোহে ডুবে ছিলেন, যৌবন রসরঙ্গে মেতেছিলেন, সংসার, স্ত্রী, পুত্র, পরিবার নিয়ে ব্যেস্ত ছিলেন। ঈশ্বর ভজনা করার অবকাশ পাননি বা প্রয়োজনও বোধ করেননি। শেষমুহুতে তিনি জীবনের সত্য বোঝতে পারেন, যে এই সংসারে কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়, সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী, জন্মের পর মৃত্যুই সত্য এমনকি যে জগতের সৃস্টিকর্তা ব্রহ্মা তাঁরও অবসান ঘটে। একমাত্র প্রভু শ্রীকৃষ্ণ তার কোনো আদি অন্ত নে়ই তাই তিনি, শেষকালে মৃত্যুজনিত ভয় থেকে উদ্ধার করতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন।
পাঠনির্ভর ব্যাকরণ:
১। ক) প্রার্থনা কবিতা থেকে কয়েকটি ব্রজবুলি শব্দের উল্লেখ করো।
উত্তরঃ- প্রার্থনা কবিতাটিতে উল্লেখিত কয়েকটি ব্রজবুলি শব্দ হল ― তাতল, বিসরি , বিশোয়াসা , তোহ , অব , মঝু , মাতলু , তুয়া , অবসানা সমাওত , আরা ।
খ) প্রার্থনা কবিতায় উল্লিখিত সর্বনাম পদগুলি লেখো।
উত্তরঃ- সর্বনাম পদগুলি হল ― তোহে , তুহু , জগৎতারণ , মাধব , তুয়া ।
গ) নিচের শব্দগুলোর গদ্যরূপ লেখো।
সমর্পিলু; অব; জনম; নিন্দে; মাতলু; ভজব।
উত্তরঃ- সমর্লু – সমর্পণ
অব – এখন।
জনম – জন্ম।
নিন্দে – নিদ্রায়।
মাতলু – মাতলাম।
ভজব – ভজনা করব।
ঘ) পদ পরিবর্তন করুন।
সমাজ; শিশু; জন্ম; মন; নিয়ম।
উত্তরঃ- সমাজ – সমাজিক।
শিশু – শৈশব।
জন্ম – জনম।
মন – মন।
নিয়ম-নীতি।
ঙ) বিশেষার্থক শব্দ প্রয়োগে অর্থপূর্ণ কথা লিখুন।
গোবরে পদ্মফুল; খয়ের খাঁ; সামাজিক বালি; টনক নড়া ; ঠোট কাটা।
উত্তরঃ- i)গোবরে পদ্মফুল― শান্তি একটি পরিবেশের মধ্যে বাস করে নির্মল ভালো ফলাফল করেছে এ গোবরে পদ্মফুল।
ii)খয়ের খাঁ- ম্যানেজারের সব কথায় সায় দিয়ে চলা কর্মচারীটিকে সবাই খয়ের খাঁ বলে ডাকত।
iii)চোখের বালি - তিতাসের সাফল্য যেন তার সহকর্মীদের চোখের বালি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ তার প্রশংসা করতে পারছে না, আবার সামনে বলতেও দ্বিধা করছে।
iv)টনক নড়া ― গরিব কৃষকের দুর্দশার খবর শুনে প্রশাসনের টনক নড়ল।
v)ঠোট কাটা ― তানিয়া এমন একজন ঠোঁট কাটা মেয়ে, যে সত্য কথা বলতে কখনো পেছপা হয় না, যদিও তার এই স্বভাব অনেক সময় অন্যদের মনঃক্ষুণ্ন করে।
যোগতা বিচার:
১। বিদ্যাপতির পিতার নাম কি?
উত্তরঃ- বিদ্যাপতির পিতার নাম গণপতি ঠাকুর।
২। ব্রজবুলি ভাষায় রচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কাব্যের নাম লেখো।
উত্তরঃ- ব্রজবুলি ভাষায় রচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কাব্যের নাম হল ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী।
৩। ব্রজবুলি ভাষা সম্বন্ধে যা জান লেখো।
উত্তরঃ- ব্রজবুলি ভাষা হলো বাংলা ও মৈথিলী ভাষার একটি সংমিশ্রিত রূপ। এটি প্রধানত মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে ব্যবহৃত একটি কাব্যিক ভাষা, বিশেষত বৈষ্ণব কবিদের মধ্যে। এই ভাষার ব্যবহার বেশি দেখা যায়। এই ব্রজবুলি ব্রজ বা বৃন্দাবনের ভাষা নয়। এটি একটি সম্পূর্ন কৃত্রিম ভাষা। এই কৃত্রিম ভাষা অনেক হিন্দি, ওড়িয়া, মৈথিলী, বাংলা ও অসমীয়া শব্দের মিশ্রণ। বৈষ্ণব কবি বিদ্যাপতির মৈথিলী ভাষায় রচিত পদাবলির প্রভাবে এই ভাষার সৃষ্টি হয়। এক সময় কবি বিদ্যাপতির পদের অনুকরণে বাংলা, উড়িষ্যা ও অসমে পদাবলি রচনার উৎসাহ দেখা গিয়েছিল এবং তারই ফলে ব্রজবুলি ভাষার সৃষ্টি। বহুকাল পরে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ব্রজবুলি ভাষায় 'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী' লিখেছেন। ব্রজবুলি ভাষা কোনো প্রাকৃতিক বা প্রচলিত কথ্য ভাষা নয়; বরং এটি একটি কৃত্রিম ভাষা, যা সাহিত্যিক উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছিল। মূলত বৈষ্ণব কবিতায় কৃষ্ণ এবং রাধার লীলার বিবরণে এই ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে। প্রেম, ভক্তি এবং ঐশ্বরিক সম্পর্কের প্রকাশই এর প্রধান লক্ষ্য। ভাষাটি সহজ, সুরেলা এবং গীতিময়। এটি গান ও কাব্যে আবেগ ও ভক্তির সুর জাগাতে ব্যবহৃত হতো।
ব্রজবুলি ভাষায় রচিত গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য:
ক) বিদ্যাপতি: মৈথিলী ভাষার কবি বিদ্যাপতির গীতিগুলি ব্রজবুলি ভাষার উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে। যদিও বিদ্যাপতি মৈথিলীতে লিখেছেন, তাঁর গীতিগুলি বাংলার বৈষ্ণব সাহিত্যিকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।
খ) চণ্ডীদাস: বাংলার বৈষ্ণব কবি চণ্ডীদাস ব্রজবুলি ভাষায় রাধাকৃষ্ণের প্রেমের গান রচনা করেছেন।
গ) গোবিন্দদাস: ব্রজবুলি ভাষার অন্যতম প্রধান কবি। তাঁর রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
Published By Gobinda Debnath
Why Use Us?
At Digital Pipal Academy, we are dedicated to providing high-quality, easy-to-understand educational content for SEBA students. Our comprehensive solutions for SEBA Class 10 Bengali Chapter 1 'প্রার্থনা' are designed to help students grasp complex concepts and excel in their exams. Here's why you should choose us:
- Expert-Curated Content: Our content is developed by experts in the field to ensure it aligns perfectly with the SEBA syllabus.
- Clear and Concise Solutions: We break down every answer into simple steps to make learning easy and effective.
- Accessible Anytime, Anywhere: Our solutions are available online, making it easy for students to learn at their convenience.
- Free Resources: Access high-quality study materials, practice questions, and solutions at no cost.
FAQ
1. What is included in the SEBA Class 10 Bengali Chapter 1 'প্রার্থনা' Questions and Answers?
Our solutions cover all the important questions and answers from Chapter 1 'প্রার্থনা,' along with detailed explanations, which help you understand the text better.
2. How can I access the solutions?
Simply visit the Digital Pipal Academy website, and you'll find the full solutions available for free.
3. Are these solutions useful for the upcoming board exams?
Yes, the solutions are designed to cover all the critical points that are likely to appear in your SEBA Class 10 Bengali exams.
4. Can I get help with other subjects as well?
Yes, Digital Pipal Academy provides solutions for various subjects across all SEBA and NCERT curricula, so you can explore solutions for other subjects too.
More Solutions
For a wide range of other solutions and study materials, check out the following:
- SEBA Class 10 Mathematics
- SEBA Class 10 Science
- SEBA Class 10 English
- NCERT Solutions for Class 10
- SEBA Class 10 History & Civics Solutions
Explore more and prepare for your exams with ease!
Follow Us
Stay connected with Digital Pipal Academy for more updates, study tips, and solutions.
- Instagram: @pipalacademy
- Facebook: Digital Pipal Academy
- YouTube: Digital Pipal Academy Channel
Follow us and never miss out on any updates that can help you succeed in your exams!
Visit Again!
We’re constantly adding more resources to make your learning journey smoother. Don’t forget to bookmark this page and check back for more updates. Thank you for choosing Digital Pipal Academy!
Happy Learning! 😊
- Team Digital Pipal Academy