SEBA Class 10 Bengali Chapter – 3 গ্রামছুটি | Digital Pipal Academy Solutions

Gobinda Debnath

Heading with Purple Background

SEBA Class 10 Bengali Chapter 3 “গ্রাম্যছবি” Questions and Answers | Digital Pipal Academy


SEBA Class 10 Bengali Chapter – 3 গ্রামছুটি | Digital Pipal Academy Solutions

Welcome to Digital Pipal Academy, where we bring you expert solutions for SEBA Class 10 Bengali Chapter – 3 গ্রামছুটি. In this post, you’ll find:

  • Chapter Notes to clarify the key concepts.
  • Important Questions with answers for exam preparation.
  • Step-by-step explanations to enhance your understanding.

If you find this post helpful, please share it with your classmates and friends. At Digital Pipal Academy, we are committed to providing accurate and easy-to-follow study materials for SEBA students. Stay connected for more updates!


SEBA ক্লাস 10 বাংলা পাঠ্য প্রশ্নের উত্তর

Bangla Medium Question Answer

SEBA Class 10 Bengali Chapter 3 “গ্রাম্যছবি”

SEBA Class 10 Bengali Chapter 3 “গ্রাম্যছবি” Questions and Answers | Digital Pipal Academy

  Heading with Purple Background

SEBA Class 10 Bengali (MIL) (পদ্যাংশ) অধ্যায়– 3

গ্রাম্যছবি

কবি- গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী

১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

(ক) খড়ের চালে করলা – লতা কীভাবে উঠেছে?

উত্তরঃ খড়ের চালে করলা – লতা মাচা বেয়ে লতিয়ে উপরে উঠেছে

(খ) খোকা কোথায় শুয়ে আছে?

উত্তরঃ খোকা দড়ির দোলনাতে শুয়ে আছে।

(গ) গাছ থেকে পাকা কুল কে পেড়েছিল?

উত্তরঃ গাছ থেকে পাকা কুল ছোটো দুই বোন মিলে পেড়েছিল।

(ঘ) রোদটুকুর রং কেমন?

উত্তরঃ রোদ টুকুর রং সোনার রঙের।

(ঙ) রাখাল কোথায় শুয়ে বিশ্রাম করে?

উত্তরঃ রাখাল গাছের ছায়ায় বিশ্রাম করে।

(চ) কবির মতে সুধাময়ী কে?

উত্তরঃ কবিতায় কবির মতে সুধাময়ী হল জন্মভূমি ।

 

২। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

(ক) গ্রামের ঘর-বাড়ির সৌন্দর্য কেমন?

উত্তরঃ গ্রাম বলতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আর অপূর্ব শোভায় সাজানো প্রকৃতিদেবীর আপন হাতে রচিত এক মনোরম দৃশ্য। গ্রামের ঘরগুলি মাটির তৈরি এরং চালগুলি খড়ের ছাউনি দেওয়া, দাওয়াগুলি মনোহর, সামনের দিকে মাটির উঠোন এরং সেখানে তুলসী চারা রয়েছে।  করলার গাছের লতাগুলি মাচা বেয়ে ঘরের উপরে উঠে রয়েছে । খাঁচার মধ্যে বউ কথা কও পাখি আছে। ছোট খোকা দড়ির দোলনাতে দুলছে। চারপাশে সবুজের ছায়া এই সমস্ত উপাদান কবিতায় গ্রামের ঘর-বাড়িকে এক স্বপ্নিল ও আকর্ষণীয় রূপ দান করেছে।

 

(খ) গ্রামের দুপুরবেলার ছবি বর্ণনা করো।

উত্তরঃ কবিতায় গ্রাম্য দুপুরবেলার এক শান্ত, নিবিড় ও স্বপ্নিল রূপ ফুটে উঠেছে। কবি গ্রামবাংলার দুপুরের দৃশ্যপট এমনভাবে চিত্রিত করেছেন যে পাঠকের চোখের সামনে একটি জীবন্ত চিত্র ভেসে ওঠে।

দুপুরবেলা প্রকৃতিতে নেমে আসে এক প্রশান্ত নির্জনতা এবং পাখিদের কলরব বেড়ে যাইগাছের ছায়া গাঢ় হয়ে আসে, বাতাস স্থির হয়ে থাকে। গ্রামের মানুষজন দুপুরের ক্লান্তি মেটাতে কেউ কেউ বিশ্রামে মগ্ন, কেউবা নিদ্রামগ্ন। মাঠে চাষিরা কাজ শেষ করে ফিরে এসেছে আপন গৃহে। গবাদি পশুরাও গাছের নিচে জিরিয়ে নিচ্ছে এবং গাছের স্নিগ্ধ ছায়ায় রাখাল শুয়ে বিশ্রাম করছে।, পুকুরের জল একদম স্থির এবং নির্মল কোথাও হালকা ঢেউ খেলে যায় এবং তাতে কমলীর দল ঘিড়ে রয়েছে

গ্রামের দুপুরবেলায় সূর্যের রোদ যেন সোনার বরণ ধারণ করেছে, কৃষ্ণচূড়া আর কদম ফুলের গাছ যেন সেই তীব্র রোদে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। সরু মেঠো পথ বেয়ে পথিক আপন মনে গান  গেয়ে যায়,  দূর থেকে ভেসে আসে কোন মৃদু বাঁশির সুর, যা দুপুরের নিস্তব্ধতাকে আরো মধুর করে তোলে

 

(গ) কবির কোন বাল্যস্মৃতি মনে পড়ে?

উত্তরঃ কবি তার শৈশবে দেখা সবুজ মাঠ, নদীর ধারে ভোরের আলো, পাখির ডাক এবং গ্রামবাংলার শান্ত, মনোরম পরিবেশকে স্মরণ করেন। কবি শৈশবে গ্রামের খোলা মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলার স্মৃতি মনে করেন, যা তার জীবনের এক চিরস্মরণীয় অধ্যায়। গ্রামে কাটানো সেই দিনগুলোর কথা মনে করে তিনি ফিরে যেতে চান সেই নিস্পাপ, নির্মল শৈশবে। ছোটবেলায় যে ঘুর গান সে শুনতে শুনতে সেই ঘুর গানের কথা মনে পড়ে।

সারসংক্ষেপে বলা যায়,গ্রাম্যছবি”  কবিতায় কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী তার শৈশবের স্মৃতিকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এবং সেই স্মৃতিগুলো গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে মিশে গিয়ে এক অনন্য রূপ পেয়েছে।

 

(ঘ) 'দাওয়া ' শব্দের প্রতিশব্দ লেখো ও দাওয়ার বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ দাওয়া’ শব্দের প্রতিশব্দগুলি হলো:— বারান্দা, চৌকি, উঠোন।

দাওয়া’ গ্রামবাংলার একটি বিশেষ স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য। সাধারণত মাটির বা পাকা বাড়ির সামনের উঁচু চাতালকে দাওয়া বলা হয়। এটি বসবার, অতিথি আপ্যায়ন, গল্পগুজব, গৃহস্থালির ছোটখাটো কাজকর্ম বা বিশ্রামের জন্য ব্যবহৃত হয়। গ্রামের মানুষজন দাওয়ায় বসে বিকেলের সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে গল্প করেন, পিঠা তৈরি করেন অথবা অন্যান্য পারিবারিক কার্যকলাপ সম্পন্ন করেন।

 

৩। শূন্যস্থান সম্পূর্ণ করো –

(ক) _____ তুলসীর চারা গৃহ শিল্পে কড়ি ঝাড়া ।

উত্তরঃ মঞ্চে।

(খ) খড়ো ____ ছাঁটা, লতিয়া করলা-লতা ।

উত্তরঃ চালখানি।

(গ) একাকিনী আপনার ____ বসিয়া প্রাঙ্গণে ।

উত্তরঃ মনে ধড় নাড়ে।

(ঘ) ____ জন্মভূমি, তেমতি আছ কি তুমি ।

উত্তরঃ সুধাময়ী।

(ঙ) শান্ত স্তব্ধ ____ গ্রাম্য মাঠে গোরু চরে ।

উত্তরঃ দ্বিপ্রহরে

 

৪। এক শ শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো।

(ক) “গ্রাম্যছবি” কবিতা অবলম্বনে ছবিগুলি বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর ‘গ্রাম্যছবি’ কবিতায় গ্রামীণ বাংলার অপূর্ব এক চিত্র আঁকা হয়েছে। কবিতায় ফুটে উঠেছে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানুষের সরল জীবনযাপন এবং তাদের সুখ-দুঃখের কাহিনি। কবি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে শব্দের মাধ্যমে একটি জীবন্ত চিত্র এঁকেছেন, যা পাঠকের মনে গ্রাম বাংলার এক অনন্য অনুভূতি জাগায়।

প্রথমেই কবিতায় দেখা যায় গ্রামের শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশ। দূর-দূরান্তে সবুজ ধানক্ষেত, বাতাসে দোল খাওয়া গাছপালা, খোলা আকাশ এবং পাখির কূজন কবিতায় প্রাণ এনে দেয়। গ্রামের নদী, যার স্বচ্ছ জলে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়, সেই দৃশ্য যেন একটি চিরন্তন শান্তির প্রতীক। নদীর পাড়ে বসে থাকা মৎস্যজীবীরা এবং কলসে জল আনতে আসা গ্রামের বধূদের চিত্র অত্যন্ত জীবন্তভাবে ধরা পড়েছে কবিতার পংক্তিতে

এরপর কবি গ্রামবাসীদের দৈনন্দিন জীবনের বর্ণনা দিয়েছেন। কৃষকের মাঠে কাজ করার দৃশ্য, বধূদের স্নিগ্ধ হাসি, পল্লীবালার গান এবং সন্ধ্যায় গ্রামের মেঠোপথে গরুর গাড়ির চাকা গড়ানোর শব্দ, সরু মেঠো পথে বেয়ে পথিকে গান —সব মিলিয়ে এক মনোরম দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। হাট-বাজারে কৃষকদের প্রাণচঞ্চলতা, গ্রামীণ পণ্যের আদান-প্রদান এবং লোকসংগীতের মূর্ছনা কবিতার আবেগকে আরো গভীর করেছে

কবি দেখিয়েছেন গ্রামের মানুষের সরলতা এবং পরস্পরের প্রতি তাদের আন্তরিক ভালোবাসা। সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা গ্রামীণ জীবনের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। দুঃখ-কষ্ট থাকলেও গ্রামের মানুষদের মনে একধরনের স্বস্তি ও পরিতৃপ্তি কাজ করে

উত্তরঃ কবিতায় গ্রাম্য দুপুরবেলার এক শান্ত, নিবিড় ও স্বপ্নিল রূপ ফুটে উঠেছে। কবি গ্রামবাংলার দুপুরের দৃশ্যপট এমনভাবে চিত্রিত করেছেন যে পাঠকের চোখের সামনে একটি জীবন্ত চিত্র ভেসে ওঠে।

এরপর কবি গ্রামের দুপুরবেলা প্রকৃতিতে নেমে আসে এক প্রশান্ত নির্জনতা এবং পাখিদের কলরব, গাছের ছায়া গাঢ় হয়ে আসে, বাতাসের স্থির হয়ে থাকার বর্ণনা করেছেন। গ্রামের মানুষজন দুপুরের ক্লান্তি মেটাতে কেউ কেউ বিশ্রামে মগ্ন, কেউবা নিদ্রামগ্ন। মাঠে চাষিরা কাজ শেষ করে ফিরে এসেছে আপন গৃহে। গবাদি পশুরাও গাছের নিচে জিরিয়ে নিচ্ছে এবং গাছের স্নিগ্ধ ছায়ায় রাখাল শুয়ে বিশ্রাম করছে।, পুকুরের জল একদম স্থির এবং নির্মল কোথাও হালকা ঢেউ খেলে যায় এবং তাতে কমলীর দল ঘিড়ে রয়েছে গ্রামের দুপুরবেলায় সূর্যের রোদ যেন সোনার বরণ ধারণ করেছে, কৃষ্ণচূড়া আর কদম ফুলের গাছ যেন সেই তীব্র রোদে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে।

গ্রাম্যছবি’ কবিতাটি শুধুমাত্র একটি গ্রামের চিত্রই তুলে ধরে না, এটি বাংলার মাটির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক, প্রকৃতির সঙ্গে তাদের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন এবং সরল জীবনের এক অনন্য কাব্যিক প্রকাশ। কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী অত্যন্ত সুন্দরভাবে শব্দের মালা গেঁথে এক চিরন্তন গ্রামীণ চিত্রপট তৈরি করেছেন, যা পাঠকের হৃদয়ে স্থায়ী ছাপ ফেলে যায়

 

(খ) কবিতাটিতে দুপুর বেলায় যে সৌন্দর্যের বর্ণনা আছে তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।

উত্তরঃ গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর রচিত 'গ্রাম্যছবি' কবিতায় দুপুর বেলার সৌন্দর্য অত্যন্ত চিত্রময়ভাবে এক শান্ত, নিবিড় ও স্বপ্নিল রূপে ফুটে উঠেছে। কবি তাঁর শব্দচিত্রের মাধ্যমে আমাদের চোখের সামনে গ্রামবাংলার এক মায়াময় দুপুরের দৃশ্য অঙ্কন করেছেন। দুপুরবেলার রোদ যেন সোনার কিরণ হয়ে মাটির উপর ছড়িয়ে পড়ে। কৃষ্ণচূড়া আর কদম ফুলের গাছ যেন সেই তীব্র রোদে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। গাছের পাতাগুলি রোদের তাপে ঝিমিয়ে পড়ে, আর বাতাসও যেন নিস্তব্ধ হয়ে যায়, প্রকৃতিতে নেমে আসে এক প্রশান্ত নির্জনতা এবং পাখিদের কলরব বেড়ে যাই। গ্রামের সরল জীবন যেন এই দুপুরে এক নিস্তব্ধ আবহে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। খোলা প্রান্তরের উপর দিয়ে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ে, আর কোথাও কোথাও তালগাছের ছায়া দীর্ঘ হয়ে মাটিতে আঁকিবুকি কাটে।

এই সময় গ্রাম্য প্রকৃতি যেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। গ্রামের মানুষজন দুপুরের ক্লান্তি মেটাতে কেউ কেউ বিশ্রামে মগ্ন, কেউবা নিদ্রামগ্ন। মাঠে চাষিরা কাজ শেষ করে ফিরে এসেছে আপন গৃহে। গবাদি পশুরাও গাছের নিচে জিরিয়ে নিচ্ছে এবং গাছের স্নিগ্ধ ছায়ায় রাখাল শুয়ে বিশ্রাম করছে, কেউ আবার দুপুরের ক্লান্তি কাটাতে গাছতলায় বসে বাঁশি বাজাছে তাদের সেই মৃদু বাঁশির সুর দুপুরের নিস্তব্ধতাকে যেন আরো মোহনীয় করে তোলে পুকুরের জল একদম স্থির এবং নির্মল কোথাও হালকা ঢেউ খেলে যায় এবং তাতে কমলীর দল ঘিড়ে রয়েছে। পুকুরের জল রোদে ঝিলমিল করে, আর শাপলা ফুলগুলো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে। সরু মেঠো পথ বেয়ে পথিক আপন মনে গান  গেয়ে যায়,  দূর থেকে ভেসে আসে কোন মৃদু বাঁশির সুর, যা দুপুরের নিস্তব্ধতাকে আরো মধুর করে তোলে

বাড়ির মেয়েরা উঠোনে থাকা কুল গাছ থেকে কুল পারছে আর বৌরা বারান্দায় বসে চাল বাছাই করছে। কেউ কেউ আবার পিঠা বানাচ্ছে বা শাক-সবজি কুটছে। ঘরের বড়দের নিদ্রালু চোখে যেন দুপুরের শান্তির স্পর্শ লেগে থাকে। মাঠের শেষ প্রান্তে ধানগাছগুলো মাথা ঝুঁকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে

        গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী এই দুপুর বেলার দৃশ্যকে নিছক প্রকৃতির বর্ণনা হিসেবে নয়, বরং এক প্রাণময় জীবনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে তুলে ধরেছেন। গ্রামের দুপুর যেন প্রকৃতি, মানুষ আর জীবজগতের এক অপূর্ব সঙ্গীত, যেখানে সবকিছুই একসূত্রে বাঁধা। কবির কলমে এই দুপুরের সৌন্দর্য কেবল চোখে দেখার নয়, বরং হৃদয়ে অনুভব করার বিষয় হয়ে ওঠেএই কবিতার মাধ্যমে কবি আমাদের এক টুকরো শান্তি ও স্নিগ্ধতার পৃথিবীতে নিয়ে যান, যেখানে সময় থেমে যায় আর প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আরো গভীর হয়

 

(গ) কবি জন্মভূমিকে সুধাময়ী বলেছেন কেন?

উত্তরঃ গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর রচিত 'গ্রাম্যছবি' কবিতায় কবি জন্মভূমিকে 'সুধাময়ী' বলে অভিহিত করেছেন, কারণ তাঁর কাছে জন্মভূমি শুধু একটি ভৌগোলিক স্থান নয়, বরং এটি মাতৃস্নেহে পরিপূর্ণ এক পবিত্র আশ্রয়স্থল। এই কবিতায় কবি গ্রামের নিসর্গ, মানুষের সরল জীবনযাত্রা এবং প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের মেলবন্ধনের এক চিত্র অঙ্কন করেছেন। এই কবিতায় গ্রামীণ জীবনের সরলতা, প্রকৃতির স্নিগ্ধ সৌন্দর্য এবং মানুষদের আন্তরিকতার এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে। কবির জন্মভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং মমত্ববোধ কবিতার প্রতিটি ছত্রে প্রকাশ পেয়েছে।

গ্রাম্য জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো প্রকৃতির সান্নিধ্য। কবি তাঁর কবিতায় জন্মভূমির প্রকৃতিকে অত্যন্ত যত্নের সাথে চিত্রিত করেছেন। খোলা আকাশ, পাখির গান, সবুজ মাঠ, নদীর কুলুকুলু ধ্বনি—এসবই জন্মভূমিকে কবির কাছে সুখময় করে তুলেছে। এই নৈসর্গিক সৌন্দর্য কেবল চোখের আরাম নয়, এটি মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়।

গ্রামের মানুষদের জীবনযাপন অত্যন্ত সরল ও অকৃত্রিম। তারা প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে জীবন কাটায় এবং মনের অগাধ ভালোবাসা দিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। কবি এই সরলতা এবং আন্তরিকতাকেই জন্মভূমির সুখময়তার অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। শহুরে কোলাহল এবং যান্ত্রিক জীবনের বিপরীতে গ্রামের শান্ত পরিবেশ কবির মনে আনন্দের সঞ্চার করেছে।

প্রত্যেক মানুষের শৈশবের স্মৃতি মধুর এবং সুখকর হয়। কবির ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। কবি তাঁর শৈশবকালীন স্মৃতি, খেলার মাঠ, বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত, মায়ের স্নেহভরা হাত—এসব স্মৃতির কথা মনে করেই জন্মভূমিকে সুখময় বলে আখ্যায়িত করেছেন।

গ্রামীণ সমাজে মানুষের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক এবং সহযোগিতার চিত্র স্পষ্ট। বিপদে-আপদে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রবণতা কবির মনে জন্মভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসা জাগিয়েছে। এই সম্পর্কের উষ্ণতাই জন্মভূমিকে কবির কাছে সুখময় করেছে।

কবি তার শৈশবে দেখা সবুজ মাঠ, নদীর ধারে ভোরের আলো, পাখির ডাক এবং গ্রামবাংলার শান্ত, মনোরম পরিবেশকে স্মরণ করেন। কবি শৈশবে গ্রামের খোলা মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলার স্মৃতি মনে করেন, যা তার জীবনের এক চিরস্মরণীয় অধ্যায়। গ্রামে কাটানো সেই দিনগুলোর কথা মনে করে তিনি ফিরে যেতে চান সেই নিস্পাপ, নির্মল শৈশবে। ছোটবেলায় যে ঘুর গান সে শুনতে শুনতে সেই ঘুর গানের কথা মনে পড়ে। কবির কাছে জন্মভূমি শুধু বসবাসের স্থান নয়, বরং এটি তাঁর মনের গভীরে সযত্নে লালিত এক আবেগময় অনুভূতি। এই জন্যই তিনি জন্মভূমিকে সুধাময়ী বলে আখ্যায়িত করেছেন।

 

(ঘ) গ্রামের প্রাকৃতিক শোভা বর্ণনা করো ।

উত্তরঃ কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর রচিতগ্রাম্যছবি” কবিতায় গ্রামের প্রাকৃতিক শোভা অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও সজীবভাবে চিত্রিত হয়েছে। কবি গ্রামকে প্রকৃতির এক অপরূপ রূপময় সুষমা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। সবুজ মাঠ, কলকল করে বয়ে চলা নদী, দিগন্তবিস্তৃত শস্যক্ষেত্র, পাখির কলকাকলি, মৃদুমন্দ হাওয়া, এবং সন্ধ্যার স্নিগ্ধ পরিবেশ এবং নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের দল – সব মিলিয়ে কবিতায় এক স্বর্গীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। গ্রামের আকাশে ভোরের আলো ফুটতেই শোনা যায় মৃদু মধুর পাখির গান। মাঠে কৃষকের কণ্ঠে ভেসে আসে সজীবতার সুর। সূর্যোদয়ের সোনালি আভা এবং গোধূলির লালচে আভা গ্রামের প্রকৃতিকে আরো মায়াময় করে তোলে।

গ্রামের পথে প্রান্তরে ছড়িয়ে থাকা বৃক্ষরাজি, ফুলের সুবাস এবং সরল-সাধারণ গ্রামবাসীর মুখের হাসি প্রকৃতির শোভাকে আরো প্রাণময় করে তোলে। কবি গ্রামের পরিবেশের সঙ্গে মানুষের অন্তরঙ্গ সম্পর্ককেও তুলে ধরেছেন। প্রকৃতির এই স্নিগ্ধ, শান্ত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত পরিবেশে মানুষ পায় প্রকৃত সুখ ও প্রশান্তি। কবিতার প্রতিটি পঙক্তিতে ফুটে উঠেছে গ্রামের সৌন্দর্যের প্রতি কবির গভীর মমতা ও ভালোবাসা। এটি নিছক প্রকৃতির বর্ণনা নয়; এটি এক নান্দনিক চিত্রকল্প, যেখানে প্রকৃতি এবং মানুষের জীবন একসূত্রে গাঁথা

বাংলার গ্রাম শীত-বসন্ত-বর্ষার স্মৃতি নিয়ে জড়িত। শীত ঋতুতে গ্রামের প্রকৃতি এক নীরব, শান্ত এবং কুয়াশাচ্ছন্ন রূপ ধারণ করে। কবি শীতের সকালের বর্ণনায় গ্রামের মাঠ, পাখিদের নীরবতা, শিশিরভেজা ঘাস এবং আগুন পোহানো মানুষের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। শীতের হিমেল বাতাস আর গ্রামের মানুষের শীতবস্ত্রের অভাব যেন তাদের জীবন সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে।

গ্রামে বর্ষার আগমন আশীর্বাদের মতো। বর্ষা ঋতুর বর্ণনায় কবি গ্রামের মেঘলা আকাশ, টিপটিপ বৃষ্টি, নদীর জলে প্লাবিত মাঠ এবং কাঁচা রাস্তার কর্দমাক্ত চিত্র এঁকেছেন। বর্ষায় গ্রামের জীবন হয়ে ওঠে অনেকটা কষ্টকর, তবে প্রকৃতি পায় এক নতুন প্রাণ। খাল-বিল-নদী নতুন জলধারায় পূর্ণ হয়, সবুজ শ্যামলিমা চারপাশকে মোহিত করে রাখে।

গ্রামের গ্রীষ্মের গঠন পল্লীর প্রায় জনমানব শূন্য। রাস্তাঘাটে লোক একান্ত বিরল। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়াই ঘরের বের হতে চাই কেউ না। গ্রামের দুপুরবেলায় সূর্যের রোদ যেন সোনার বরণ ধারণ করে কৃষ্ণচূড়া আর কদম ফুলের গাছ যেন সেই তীব্র রোদে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। নিরুপায় চাষিরা ক্ষেতে কাজ করতে হয়। তবে কবি শুধু গ্রীষ্মের কঠোর রূপই দেখাননি, বরং গাছের ছায়ায় গ্রামবাসীর একটু শান্তির আশ্রয় নেওয়ার চিত্রও তুলে ধরেছেন। সরু মেঠো পথ বেয়ে পথিক আপন মনে গান  গেয়ে যায়,  দূর থেকে ভেসে আসে কোন মৃদু বাঁশির সুর, যা দুপুরের নিস্তব্ধতাকে আরো মধুর করে তোলে সন্ধ্যার সময় প্রকৃতি কিছুটা শান্ত হয়, পাখিরা বাসায় ফিরে আসে, এবং গ্রামীণ জীবনের সরলতা আবার চোখে পড়ে।

সীমান্তের মধ্যে দিয়ে এঁকেবেঁকে নদী বয়ে যায়। আকাশের নিচে গাঁয়ের পথ , সন্ধ্যার শুরু মাঠ পথে ধরে রাখাল বালকেরা গোরু নিয়ে ফেরে। গ্রাম – বাংলায় আছে সারি সারি মাটির ঘর। ঘরের দেওয়ালগুলি গ্রাম্যবধূদের হাতের ছোঁয়া দিয়ে তৈরি। দেওয়ালে বিভিন্ন বর্ণের ছবি আঁকা থাকে। আটঘাট বাঁধানো পুকুর।

 

৫। দু-চার কথায় উত্তর দাও।

(ক) রাখাল বালকের দিনযাপন কেমন বর্ণনা করো

উত্তরঃ রাখাল বালকের দিনযাপন অত্যন্ত সরল, নির্মল এবং প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটে। কবিতায় দেখা যায়, রাখাল বালকেরা ভোরবেলা গরু চরাতে নিয়ে যায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে বাঁশি বাজিয়ে আনন্দে সময় কাটায়। তাদের দিন কাটে সবুজ মাঠ, নদীর ধারে আর খোলা আকাশের নিচে। দুপুরবেলা গাছের ছায়ায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তার পর আবার কর্মজীবনে ব্যস্ততা হয়ে পড়ে। কর্মব্যস্ততার মাঝেও তাদের মনে থাকে এক ধরনের অবুঝ আনন্দ ও প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা। এ জীবন কোলাহলমুক্ত, নিস্তব্ধ প্রকৃতির মাঝে এক শান্তির প্রতিচ্ছবি। কবি তাদের সরল জীবনযাপনকে অত্যন্ত আবেগ ও মমতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন। রাখাল বালকদের উপরে থাকে গোরুগুলিকে দেখাশোনার দায়িত্ব।

 

(খ) গ্রাম্য বধূর দিন যাপন কেমন? পঠিত কবিতা অনুসারে ব্যাখ্যা করো

উত্তরঃ গ্রাম্য বধূর জীবন সরল, কিন্তু তার মধ্যে আন্তরিকতা ও ভালোবাসার প্রকাশ সুস্পষ্ট। তিনি প্রকৃতির মতোই মায়াবী ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী। গ্রামের প্রকৃতির কোলে বধূর জীবন অনেকটা প্রকৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। খোলা আকাশ, পাখির ডাক, নদীর কলতান—এসবের মাঝে তার দিন কেটে যায়। গ্রাম্য বধূ সংসারের প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীল। স্বামী-সন্তান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দেখাশোনায় তিনি সবসময় ব্যস্ত থাকেন।  নিজের আরাম-আয়েশ ভুলে তিনি পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন হাতে নিয়ে বালা পরা, সাজসজ্জায় কৃত্রিমতা নেই। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বধূর ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। কখনও পুকুরে জল আনতে গিয়ে অন্য নারীদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা, কখনও গাছের ছায়ায় একটু বিশ্রাম করা আবার কখনও উঠোনে একা একা আপন মনে বসে ধান নাড়তে ব্যস্ত থাকেন

 

(গ) গ্রামের সৌন্দর্য কোথায় কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে

উত্তরঃ কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর গ্রাম্যছবি” কবিতায় গ্রামের সৌন্দর্য অত্যন্ত জীবন্ত ও মনোমুগ্ধকরভাবে চিত্রিত হয়েছে। কবি প্রকৃতির রূপের পাশাপাশি গ্রামীণ জীবনের সরলতা, শান্তি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য মেলবন্ধন তুলে ধরেছেন। তাঁর কবিতায় গ্রামীণ জীবনটিটি , গ্রাম্যবধূদের জীবনের মাধুর্য সুন্দর সুন্দর রেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন। নদীর ধারা, সবুজ মাঠ, মাঠে গোচারণের দৃশ্য, সোনালি ফসলের ক্ষেত, পাখির কোলাহল, নীল আকাশ, সরু পথে হেঁটে যাওয়া পথিকে গান,  — সবকিছুই এক মোহময় আবহ তৈরি করে। গ্রামের শান্ত, নিস্তব্ধ পরিবেশকে কবি বিশেষভাবে চিত্রিত করেছেন। ভোরের হালকা রোদের আলো, সন্ধ্যার নীরবতা, কৃষকের গান — এসব উপাদান কবিতাকে সজীব করেছে। বর্ষার সজীবতা, বসন্তের মাধুর্য, শীতের কুয়াশা — এসব চিত্র কবির কলমে জীবন্ত হয়ে উঠেছে।

 

ব্যাকরণ

(ক) প্রতিটি শব্দের দুটি করে প্রতিশব্দ লেখো:

গ্রাম, ছবি, কান, পাকা, রাস্তা, চুল, শ্যাম, সুধা, মাঠ, মাটি, শাখা

উত্তরঃ  গ্রাম — পল্লী, গাঁও।

ছবি —  চিত্র, প্রতিচ্ছবি

কান — কর্ণ, শ্রবণেন্দ্রিয়।

পাকা — পরিপক্ক, দৃঢ়।

রাস্তা — পথ, সড়ক

চুল — কেশ, অলক, অঙ্গনা।

শ্যাম – কৃষ্ণ, নীল।

সুধা — অমৃত, মধু।

মাঠ — ক্ষেত, অঞ্চল।

মাটি — ধরণী, মৃত্তিকা।

শাখা — ডাল, প্রসারিকা

 

(খ) বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:

গ্রাম, সুধা, বধূ , দিন , পাকা , ছোট , কাঁটা , শূন্য , স্তব্ধ , সরু , শান্তি , আপনার , বাল্য

উত্তরঃ  গ্রাম — শহর ।

সুধা — বিষ ।

বধূ — বর ।

দিন — রাত্রি ।

পাকা — কাঁচা ।

ছোট – বড় ।

কাঁটা — কুসুম / ফুল ।

শূন্য — ভরাট / পূর্ণ

স্তব্ধ — কোলাহল ।

সরু — মোটা ।

শান্তি — অশান্তি ।

আপনার — পরের / অন্যের

বাল্য — কৈশোর / বার্ধক্য।

 

(গ) পদান্তর করো:

রাখাল , স্নিগ্ধ , বাল্য , ভূমি , দ্বিপ্রহর , দল , গাছ , কণ্টক, মন , গরু, শ্যাম , প্রাণ , নেশা , বন , বায়ু , একা , সোনা , খড় , শিল্প।

উত্তরঃ ১. রাখাল রাখালিয়া।

২. স্নিগ্ধ স্নিগ্ধতা

৩. বাল্য বাল্যকাল

৪. ভূমি ভূমিকা / ভৌম

৫. দ্বিপ্রহর দ্বিপ্রহরী / দ্বিপ্রহরিক

৬. দল দলীয়

৭. গাছ গাছপালা

৮. কণ্টক কণ্টকময়

৯. মন মনন

১০. গরু গরুর

১১. শ্যাম শ্যামলা

১২. প্রাণ প্রাণবন্ত

        ১৩. নেশা নেশাগ্রস্ত
        ১৪. বন বনভূমি
        ১৫. বায়ু বায়ুমণ্ডল
        ১৬. একা একাকী
        ১৭. সোনা সোনালী
        ১৮. খড় খড়কুটো
        ১৯. শিল্প শিল্পী
 

        





(ঘ) সন্ধিবিচ্ছেদ করো

দেবর্ষি , মহর্ষি , জনৈক , নয়ন , পবন , শয়ন ।

উত্তরঃ  দেবর্ষি — দেব + ঋষি ।

মহর্ষি — মহা + ঋষি ।

জনৈক — জন + এক ।

নয়ন — নি + অন্ ।

পবন — প + অন ।

শয়ন—শি + অন ।

ধন্যবাদ গোবিন্দ দেবনাথ!

Your help in writing the content is truly appreciated! You're amazing!

Follow Gobinda Sir on:



লেখক পরিচিতি

গোবিন্দ দেবনাথ
ডিজিটাল পিপল একাডেমিতে, আমি শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষার পথে পরিচালিত করতে নিবেদিত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে সাফল্যের মূল মন্ত্র হল প্রস্তুতি, কঠোর পরিশ্রম, এবং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়া। আমার লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়িত করা, যাতে তারা জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং তাদের শিক্ষার যাত্রায় সফল হতে পারে।


 
Author Picture

Sudev Chandra Das (B.Sc. Mathematics)

Hi! I'm Sudev Chandra Das, Founder of Digital Pipal Academy. I've dedicated myself to guiding students toward better education. I believe, 'Success comes from preparation, hard work, and learning from failure.' Let’s embark on a journey of growth and digital excellence together!.


follow us on

Instagram
Facebook
Subscribe Our YouTube Channel


 

 

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !